ঢাকা ০৩:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পৌষ মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহেও স্বাভাবিক শীত উধাও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮
  • ৩২৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পঞ্জিকার পাতায় ষড়ঋতুর হিসাবে এখন পুরোদমে শীতকাল। গতকাল ইংরেজি বছর ২০১৭ বিদায়ের সাথে পৌষ মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। অথচ উত্তর জনপদের কিছু এলাকা বাদে শীতকালের সেই চিরচেনা হাঁড় কনকনে শীত বলতে গেলে উধাও। অনেক এলাকায় ভোরে ও সকালে কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশাই শীতের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তবে অনেক জায়গায় কুয়াশারও দেখা নেই। অধিকাংশ জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের বিরাজমান একটি বর্ধিতাংশ, সুদূর উত্তরের হিমশীতল অঞ্চল সাইবেরীয়া ও হিমালয় পর্বতমালা থেকে হিমেল বায়ুর আগমনে বিলম্ব এবং ঊর্ধ্বাকাশ থেকে জেট বায়ু নিচে নামতে দেরি- এ তিনটি কারণে শীতকালের স্বাভাবিক শীত এখনও অনুভূত হচ্ছে না।

তাছাড়া সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক ধারায় আবহাওয়ার স্বাভাবিক আচরণ বদলে যাচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে ষড়ঋতুর রূপ ও বৈশিষ্ট্য। এ অবস্থায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও কোনো কোনো সময় ব্যতিক্রম ঘটছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

কক্সবাজারেও গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘলা ও কুয়াশার কারণে ২০১৭ সালের শেষ সূর্যাস্তের দৃশ্যটুকু দেখা মিলেনি। হতাশ হয়েছেন থার্টি ফাস্টের পর্যটকগণ। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ এবং ১৫.৩ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বনি তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সে.। সেখানেই শুধু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। দেশের অন্যত্র রাতের সর্বনি তাপমাত্রা অধিকাংশই ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার এবং এর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদ-নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের উত্তরাংশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণাংশে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

দেশের দক্ষিণাংশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। উত্তরাংশে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ২ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

পৌষ মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহেও স্বাভাবিক শীত উধাও

আপডেট টাইম : ১২:৪৬:০৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পঞ্জিকার পাতায় ষড়ঋতুর হিসাবে এখন পুরোদমে শীতকাল। গতকাল ইংরেজি বছর ২০১৭ বিদায়ের সাথে পৌষ মাস পড়েছে তৃতীয় সপ্তাহে। অথচ উত্তর জনপদের কিছু এলাকা বাদে শীতকালের সেই চিরচেনা হাঁড় কনকনে শীত বলতে গেলে উধাও। অনেক এলাকায় ভোরে ও সকালে কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশাই শীতের অস্তিত্ব জানান দিচ্ছে। তবে অনেক জায়গায় কুয়াশারও দেখা নেই। অধিকাংশ জায়গায় দিন ও রাতের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশিই অনুভূত হচ্ছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের বিরাজমান একটি বর্ধিতাংশ, সুদূর উত্তরের হিমশীতল অঞ্চল সাইবেরীয়া ও হিমালয় পর্বতমালা থেকে হিমেল বায়ুর আগমনে বিলম্ব এবং ঊর্ধ্বাকাশ থেকে জেট বায়ু নিচে নামতে দেরি- এ তিনটি কারণে শীতকালের স্বাভাবিক শীত এখনও অনুভূত হচ্ছে না।

তাছাড়া সর্বোপরি জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক ধারায় আবহাওয়ার স্বাভাবিক আচরণ বদলে যাচ্ছে। পাল্টে যাচ্ছে ষড়ঋতুর রূপ ও বৈশিষ্ট্য। এ অবস্থায় আবহাওয়ার পূর্বাভাসেও কোনো কোনো সময় ব্যতিক্রম ঘটছে।
এদিকে গতকাল সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ৩১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেখানে ১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।

কক্সবাজারেও গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। আকাশ মেঘলা ও কুয়াশার কারণে ২০১৭ সালের শেষ সূর্যাস্তের দৃশ্যটুকু দেখা মিলেনি। হতাশ হয়েছেন থার্টি ফাস্টের পর্যটকগণ। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ ও সর্বনি তাপমাত্রা ছিল ২৮.৩ এবং ১৫.৩ ডিগ্রি সে.। দেশের সর্বনি তাপমাত্রা ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯.৪ ডিগ্রি সে.। সেখানেই শুধু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে। দেশের অন্যত্র রাতের সর্বনি তাপমাত্রা অধিকাংশই ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঊর্ধ্বে।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানা গেছে, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ ভারতের বিহার এবং এর সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমী লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, যার একটি বর্ধিতাংশ উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত আছে।

আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারী ধরনের বৃষ্টিপাত এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদ-নদী অববাহিকার কোথাও কোথাও মাঝারী থেকে ঘন কুয়াশা এবং দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারী ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। দেশের উত্তরাংশে রাতের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। দক্ষিণাংশে কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।

দেশের দক্ষিণাংশে দিনের তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে। উত্তরাংশে তা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। পরবর্তী ২ দিনে আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। এর পরের ৫ দিনে রাতের তাপমাত্রা ক্রমান্বয়ে হ্রাস পেতে পারে।